তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়ার আগে আরো বিকল্প অনুসন্ধানের কথা বলল নাগরিক
গ্রুপ
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
অক্টোবর ২১, ২০২০ ।।
জাপানের একটি নাগরিক গ্রুপ সরকারকে ফুকুশিমা ১নং পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের
তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছেড়ে দেয়ার আগে আরো বিকল্প অনুসন্ধানের আহ্বান জানিয়েছে।
দ্যা সিটিজেনস কমিশন অন নিউক্লিয়ার এজেন্সি যা দেশের পারমাণবিক নীতি সম্পর্কে
পরামর্শ দিয়ে থাকে, মঙ্গলবার একটি অনলাইন সংবাদসম্মেলনের আয়োজন করে।
তারা বলেছেন সরকারের এই পদক্ষেপের বিরোধী বহু মানুষের কথা না শুনে সমুদ্রে
বর্জ্য পানি ছেড়ে দেয়ার পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়। তারা বলেন এই
পরিকল্পনাকে সামনে নিয়ে গেলে তা দুর্যোগের শিকার হওয়া স্থানীয়দের অনুভূতিকে
পদদলিত করবে।
ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ জাপান ফিশারিজ কোঅপারেটিভ সহ বিভিন্ন সংগঠন জোরালোভাবে
তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছেড়ে দেয়ার বিপক্ষে অবস্থান করছে, তাদের আশংকা এর ফলে
জাপানের সামুদ্রিক পণ্যের মধ্যে তেজস্ক্রিয়তার গুজব ছড়াবে।
ফুকুশিমা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রাঙ্গনে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পানি জমা করে রাখা
হচ্ছে। এই পানিকে পরিশোধন করা হলেও পানি থেকে ট্রিটিয়াম পৃথক করা সম্ভব নয়। তাই
সেখানকার পানিতে তেজস্ক্রিয় ট্রিটিয়ামের অস্তিত্ব রয়েই যাচ্ছে।
নাগরিক গ্রুপের কিছু কিছু প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে তেজস্ক্রিয় পানিকে আরো বড়
ট্যাঙ্কে দীর্ঘদিনের জন্যে সংরক্ষণ করা যাতে করে সময়ের সাথে সাথে পানির
তেজক্রিয়তা হ্রাস পায়। আরেকটি সম্ভাব্যতা হলো জমাকৃত পানি দিয়ে সিমেন্ট তৈরি করা
এবং তারপর সেগুলোকে তেজক্রিয় বর্জ্যরূপে সংরক্ষণ করা।
বিবৃতিতে তেজস্ক্রিয় পানি ৩০ বছর ধরে সংরক্ষণ করা হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ
করা হয়। সরকার এবং টোকিও ইলেট্রিক পাওয়ার কোম্পানি প্ল্যান্টটিকে ডিকমিশনিংয়ের
কাজ করছে।
গ্রুপটি বলছে, ডিকমিশনিং প্রক্রিয়াটি মাথায় রেখে সরকারের কমপক্ষে একশ বছরের
সময়সীমা নিয়ে তার পরিকল্পনাগুলি পর্যালোচনা করা উচিত। এনএইচকে।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |